সংবাদ শিরোনাম

কেমিক্যাল পল্লী হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে

পুরান ঢাকায় কোনো কেমিক্যাল গোডাউন না রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরিবর্তে বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক প্রকল্পের আওতায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে সব কেমিক্যাল গোডাউন স্থাপন করা হবে।

এ বিষয়ে স্থায়ী কেমিক্যাল পল্লী ও অস্থায়ী ভিত্তিতে ৫৪টি কেমিক্যাল গুদাম স্থাপনে দুটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে খরচ হবে ১ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা। প্রকল্পটির আওতায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের ৩১০ একর জমিতে ২ হাজার ১৫৪টি প্লট তৈরি হবে। একই সঙ্গে ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা হবে।

মঙ্গলবার(৩০ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা কেমিক্যাল ব্যবসা করেন প্রকল্পে শুধু তাদেরই জমি বরাদ্দ দিতে হবে। কোনোভাবেই যেন অন্য কেউ প্রকল্প এলাকায় প্লট বরাদ্দ না পায়।

বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, বিসিক ক্যামিক্যাল পল্লী কেরানীগঞ্জে হচ্ছে না। জনবহুল এবং অপেক্ষাকৃত কম জায়গা হওয়ায় এর পরিবর্তে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে এ পল্লী স্থাপন করা হচ্ছে। সম্প্রতি পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর এ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর আগে ৫০ একর জমিতে এটি গড়ে তোলার কথা থাকলেও এখন জমির পরিমাণ বাড়িয়ে ৩১০ একর করা হয়েছে।

কেমিক্যাল পল্লী ও অস্থায়ী ভিত্তিতে ৫৪টি কেমিক্যাল গুদাম স্থাপনসহ মোট ৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবারের একনেক বৈঠকে। সবগুলো প্রকল্প মিলে বাস্তবায়নে খরচ পড়বে ১০ হাজার ১১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৫ হাজার ২২০ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নকারি সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৪৯০ কোটি টাকা খরচ করা হবে।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, সিদ্ধিরগঞ্জ ৩৩৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯৭১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম-ফেনী-বাখরাবাদ গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরার পাইপলাইন নির্মান প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৭৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষনের জন্য গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৭৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৪৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সমাজকল্যাণ ভবন নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৭৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। নীলফামারী জেলার চাড়ালকাটা নদী সোজাকরণ এবং তিস্তা নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com